ক’রোনা ম’হামা’রীর মধ্যেই বিমানে আবারো যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স। এরমধ্যে যারা দেশ ছাড়ছেন বা দেশে আসছেন তাদের মানতে হচ্ছে ১৪ দিনের হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন।
তবে গেলো প্রায় ৬ মাস বিশ্বব্যাপী লকডাউন আর যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যে আর্থিক ক্ষ’তি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে বলে মনে করেন বিমানখাত সংশ্লিষ্টরা।
একে একে চালু হতে শুরু করেছে অলস পড়ে থাকা বিভিন্ন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যাত্রীবাহী বিমান। জী’বাণুমুক্ত করেই চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট। বিমানে ভ্রমণের আগে ও পরে মানতে হচ্ছে কড়া নির্দেশনা। সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হয়েছে চীন, জাপান,
দক্ষিণ কোরিয়ায়। কোভিড নাইনটিন ম’হামা’রির মধ্যেই আকাশে আবারো উড়তে শুরু করেছে বোয়িং এয়ারবাসের যাত্রীবাহী বিমান।
আইএটিএ মহাপরিচালক আলেক্সান্ড্রে দ্যা জুনায়েক বলেন, এখন যদি ক’রোনার দ্বিতীয় ধাপের সং’ক্র’মণ শুরু হয়, বিভিন্ন দেশের স’রকারকে লকডাউনের বিকল্প পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাবো।
এরইমধ্যে আমাদের অনেক বেশি লোকসান হয়ে গেছে। চলতি বছর লোকসান দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪২ হাজার কোটি ডলার। ২০২১ সালে আয় ৫৩ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে হবে।
কোন কোন দেশ এখনো অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলেই সীমাবদ্ধ। সিট খালি রেখে বিমানে ভ্রমণের বিপক্ষে মত পোষণ করছে অনেক এয়ারলাইন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের খুব দ্রু’তই সবকিছু শুরু করতে হবে। ধীরে ধীরে সব দেশের সীমান্তগুলো উন্মুক্ত করে দিতে হবে। কারণ আমরা সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছি।
এরইমধ্যে লোকসানে জর্জরিত অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের এয়ারলাইন্সগুলো। পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নামায় লোকসানে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বৃহত্তম সব এয়ারলাইন্স।