শনাক্তের শততম দিন পেরিয়ে যখন সং’ক্র’মণের চূড়া খুঁজছে বাংলাদেশ ঠিক তখনই সমন্বয়হীনতার নতুন চিত্র। মাঝরাতে সারাদেশে সং’ক্র’মণ বিবেচনায় দশটি জে’লার ২৭টি অঞ্চল রেড জোন দিয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন ম’ন্ত্রণালয়। কিন্তু সেখানে নেই ক’রোনা সং’ক্র’মণের কেন্দ্র- ঢাকা।
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারির কয়েক ঘণ্টা আগে সময় সংবাদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, লকডাউন বা রেড জোনে সাধারণ ছুটি নয় বরং বিশেষ এলাকায় গুরুত্ব দেয়া হবে টেষ্টিং আর ট্রেসিং। অল্পসময়ের মধ্যে এমন পাল্টাপাল্টি সি’দ্ধান্ত ক’রোনা মো’কাবিলায় দেশের অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
জোনভিত্তিক বিভাজন আর লকডাউন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে অনেক। গত সপ্তাহে জোনভিত্তিক এলাকার নাম দিলেও পরে তা ফিরিয়ে নেয় অধিদপ্তর। আবার লাল, সবুজ, হলুদ জোনে কি করণীয় তা জানানোর দুই সপ্তাহ পরে এসে চট্টগ্রাম, বগুড়া, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জসহ দশ জে’লার ২৭ এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন ম’ন্ত্রণালয়।
অথচ সেই লাল তালিকায় ঠাঁই হয়নি দেশে সংক্রমনের শীর্ষে থাকা ঢাকার। এমন অবৈজ্ঞানিক সি’দ্ধান্তে বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা।
ডা. রিদওয়ান বলেন, যদি বিজ্ঞান সম্প’র্কে যা বুঝি সেটা জানাতে বলেন, তাহলে আমি বলবো এটা আমি বর্ণণা দিতে পারবো না। কারণ এটা কোন ভিত্তি হতে পারে না।
ভিত্তি হবে যেখানে সব থেকে বেশি ক’রোনা রো’গী হবে সেখানেই লকডাউন হবে। সেখানেই টেস্টিং বেশি হবে, সেখান থেকেই ছড়ানো রোধ করতে হবে। কোথায়, কোন গ্রামে বা উপজে’লায় লকডাউন দিয়ে কোন লাভ হবে না। লকডাউন দিতে হবে শহরগুলোতে। শহরগুলোতে যদি বেশি গুরুত্ব আমরা দিতে পারতাম তাহলে পরিমাণগত দিক দিয়ে অনেক লাভবান হওয়া যেত। তবে এতে লাভ হলেও অনেক কম। এত ক’ষ্ট করে যদি এত কম লাভবান হই তাহলে তো হলো না।
এদিকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে সময় সংবাদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছিলেন এমন অবস্থায় লকডাউন ধারণা থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ।
তার কথা মতো নতুন পরিকল্পনায় রেড জোনে সব কিছুই খোলা থাকবে তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সেক্ষেত্রে লাল চিহ্নিত সেসব এলাকায় টেস্ট, ট্রেসিং আর আইসোলেশনসহ নিশ্চিত করা হবে সুচিকিৎসা। তবে কবে নাগাদ তা চালু হবে এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, না এখন, লকডাউন নেই। জোনভিত্তিক করা হবে। আমরা চাই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে সামাজিক জীবনযাত্রা রক্ষা করেই সব কিছু করতে।
দফায় দফায় সি’দ্ধান্ত বদল আর সমন্বয়হীনতা দেশের ক’রোনা পরিস্থিতিকে আরো বিপর্যয়ের মধ্যে ফে’লে দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এবার দরকার দক্ষ নেতৃত্বে পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজির বলেন, এটা সম্ভবত সমন্বয়ের অভাব। সামনের দিকে তাকাতে চাই, এখন এটাকে ঠিক ভাবে করা হোক।
ডা. রিদওয়ান বলেন, আমরা শুধু বিস্মিত হচ্ছি সমন্বয়হীনতা দেখে। সকালে, রাতে, বিকালে সন্ধ্যায় একেকবার একেকরকম। সি’দ্ধান্তগুলো আমাদের চূড়ান্ত খা’রাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেষ্টের বি’ষয়ে তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।