লাদাখে সং’ঘর্ষের পরে ভারত ও চীনের স’ম্পর্কে গু’রুতর অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যেই ভারতের দাবিকৃত তিনটি ভূখণ্ড নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র পাস করেছে নেপাল।
এখানেও চীনের হাত রয়েছে বলে দাবি নয়া দিল্লির। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে এবার ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাংলাদেশকে কাছে টানার চেষ্টা করছে চীন। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লাদাখ সী’মান্তের সং’ঘর্ষে ২০ ভারতীয় সে’নার মৃ’ত্যুর পরেও ভারত যখন উ’ত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, তখন কয়েক হাজার পণ্য রপ্তানিতে শুল্কছাড়ের বিশাল প্রস্তাব নিয়ে ঢাকাকে কাছে টানার চেষ্টা করছে বেইজিং। বাংলাদেশের ৫ হাজার ১৬১টি পণ্য রপ্তানিতে ৯৭ শতাংশ শুল্কছাড়ের বি’ষয়ে রাজি হয়েছে চীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ হিসেবে চীনের কাছে শুল্কছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। আশ্চর্যজনকভাবে গত ১৬ জুন, অর্থাৎ লাদাখ সং’ঘর্ষের মাত্র একদিন পরেই বি’ষয়টিতে ইতিবাচক সাড়া দেয় বেইজিং। আগামী ১ জুলাই থেকে এ শুল্কছাড় কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয়।
ফলে, এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের চীনে শুল্কমুক্ত ৩ হাজার ৯৫টি পণ্য রপ্তানির তালিকায় আরও কয়েক হাজার পণ্য অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুন চীনের অর্থম’ন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের পণ্যের ও’পরে ৯৭ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে। এরই মধ্যে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী চীনে রপ্তানি করা ৩০৯৫ টি পণ্যের ও’পরে করছাড় পায় বাংলাদেশ।
চীন বাংলাদেশকে ব্যাপক কর ছাড় দিলে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তাতে অস্বস্তি বাড়বে দিল্লির। এমনিতে চীনের বি’রুদ্ধে বাংলাদেশ বরাবর ভারতের পাশে থেকেছে। কিন্তু গতবছর ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধ’ন আইন নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে বাংলাদেশ।