ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। শাকিব খানের স’ঙ্গে অভিনয়ে করে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। ক্যারিয়ারে যখন বসন্তের বাতাস বইছে, ঠিক তখনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। হঠাৎই যেন উধাও হয়ে গেছেন তিনি! এছাড়া বুবলীর মুঠোফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা এই নায়িকার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এখন শোভা পাচ্ছে এক শি’শুর ছবি। তবে এই ছবি পোস্ট করার পেছনেও কারণ রয়েছে। ছবিটির স’ঙ্গে সচেতনতামূ’লক একটি পোস্ট দিয়েছেন বুবলী। এই পোস্টে ‘ইরা’ নামে এক শি’শুর গল্প বলেছেন বুবলী। এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন শি’শুদের আ’নন্দ দেয়ার জন্য আকাশে তুলে ছেড়ে দিলে ভ’য়ংকর বি’পদ ডেকে আনতে পারেন।
বুবলী সংগৃহীত এই পোস্টে লিখেছেন- বাচ্চাদের আকাশে তুলে আবার কোলে নিয়ে আমরা অনেক আ’নন্দ পাই। বাচ্চারাও পায়। কিন্তু বাচ্চাদের শ’রীরের অ’ঙ্গ প্রত্যঙ্গ ম্যাচিউর হতে অনেকদিন সময় লাগে। খুব সহজেই সেগুলো আ’ঘাতপ্রা’প্ত হতে পারে। হাত ফসকে পড়ে গিয়েও ঘটতে পারে বড় ধরনের দু’র্ঘ’টনা। ইরাকে যখন বারবার উপরে তোলা হচ্ছিল, তখন গ্রাভিটির এগেইনস্টে তাকে বারবার উপরে তোলায় তার মস্তিষ্কের স’ঙ্গে মাথার খুলির হাড্ডির বারবার ধাক্কা লাগছিল।
শি’শুর মস্তিষ্ক ও হাড্ডি দুটোই নরম। বি’ষয়টি উল্লেখ করে লিখেন, যেহেতু শি’শুর মস্তিষ্কটাও নরম আর মাথার হাড্ডিটাও নরম তাই হাড্ডির স’ঙ্গে বারবার ধাক্কা লেগে তার মস্তিষ্কের ধমনী ছিড়ে যায়। ধমনী শিরাতে র’ক্ত চলাচল করে। মস্তিষ্কের ধমনী ছিড়ে র’ক্তক্ষরণ শুরু হয় মাথার ভে’তরে। র’ক্তে থাকে গ্লুকোজ। গ্লুকোজ না পেলে মস্তিষ্ক ৪-৫ মিনিটের ভে’তর মা’রা যায়। সাথে জীবন্ত মানুষটাও। র’ক্ত সব ধমনী দিয়ে বের হয়ে আল্টিমেটলি মস্তিষ্ক ডেথ হয় ছোট্ট ইরার। তাই এসব ব্যাপারে জানুন, সতর্ক হোন, নিজে বাঁচুন, আপনার প্রিয়জনকেও বাঁচান।
অ’ন্তঃসত্ত্বা অনেক না’রীই তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে বা পোস্টে শি’শুদের ছবি পোস্ট করেন। আবার শি’শুদের নিয়ে সচেতনতামূ’লক পোস্ট করে থাকেন। বুবলীর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা!
তবে বুবলী বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, বিয়ে করলে ঢাকঢোল পি’টিয়ে সবাইকে জানিয়ে করবেন। প্রায় এক বছর ধরে বুবলী চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে দূরে রয়েছেন। এমনকি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও তার খোঁজও জানেন না। এদিকে বুবলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘ’টনাকে কেন্দ্র করে চিত্রপুরীর অনেকেই অপু বিশ্বাসের উদাহরণ টানছেন। দীর্ঘ দিন অ’জ্ঞাতবাসের পর হঠাৎ স’ন্তান কোলে নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন অপু বিশ্বাস। নানা মুনি নানা মত দিলেও সত্যটা এখনো আড়ালে। আর এজন্য অপেক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই!সর্বশেষ তড়িগড়ি করে ‘ক্যা’সিনো’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন এই বুবলী। তার অংশের শুটিং, ডাবিং শেষ করেছেন। কিন্তু এখনো অন্যান্য শিল্পীদের ডাবিং বাকি আছে। খুব শিগগির ডাবিং শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।