ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল (ছদ্মনাম)। তৃতীয় বর্ষে পড়েন। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে। এক সহপাঠীর সাথে ৪ মাস ধরে প্রেম করছেন ফয়সাল।
আর শা’রীরিক সম্প’র্কও করতে চাচ্ছেন দু’জনে। কিন্তু অবিবা’হিত সম্প’র্ক তাদের। তাছাড়া, ঢাকায় পরিচিত কারও ফ্যামিলি বাসাও নেই। আবার আবাসিক হোটেলে যাওয়ার সাহসও করে উঠতে পারছেন না।
ফলে এক রকম স’মস্যায়ই পড়ে যায় দু’জনে। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই এই স’মস্যার সমাধান করে দিল ফয়সালেরই এক বন্ধু। খোঁজ দিল ভাসমান যৌ’ন স্পটের। সেখানে রোমাঞ্চ আছে, খোলা আকাশের নিচে হিমেল হাওয়া আছে। সেইসাথে আছে নদীর স্রোতে নৌকার দুলুনি।
পাঠক, বলছি ঢাকার ভাসমান যৌ’ন স্পটের কথা; যেখানে ঘণ্টা খানেক সময় নিয়ে অল্প খরচে শা’রীরিক সম্প’র্কের কাজ সেরে আসেন তরুণ-তরুণীরা। ভাবছেন কোথায় সেই স্পট। খুব বেশি দূরে নয়।
আর সমতলেও নয়। এই স্পট একেবারে নদীতে। বুড়িগঙ্গার বুকে চলা ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকাই ব্যবহৃত হচ্ছে এই সমস্ত স্পট হিসেবে। আর এই কাজের জন্য ঘণ্টায় ৫০০ টাকা ভাড়া নেন মাঝিরা। অবশ্য কিছু কিছু মাঝি একটু কম/বেশিও নেন।
শেষ দুপুর থেকেই এমন ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া নিতে আসেন তরুণ-তরুণীরা। আর চলে একেবারে রাত পর্যন্ত। নৌকায় আপনি কি করলেন না করলেন- তাতে মাঝির কিছু আসে যায় না। ঘণ্টা ধরে তার প্রাপ্য টাকা তাকে বুঝিয়ে দিলেই হল। আর এই সমস্ত কাজে মাঝিরাও বেশ পটু।
গ্রাহকদের ধরে রাখতে সব সময় মাঝ নদী দিয়েই নৌকা চা’লায়। তীরের আশেপাশে ভিড়ে না। আর বুড়িগঙ্গায় ভাসমান এমন স্পটের সংখ্যাও কম নয়। মিরপুর থেকে শুরু করে পুরান ঢাকা পর্যন্ত সকল ঘাটেই এই রকম মাঝির দেখা মিলে। অবশ্য এই সমস্ত মাঝিরা রসিকও বটে।
নদীতে ভাসমান নৌকায় শা’রীরিক সম্প’র্কের সুযোগ দেওয়া নিয়ে কথা হয় এক মাঝির সাথে। স্থানীয় এই মাঝির বাড়ি কেরানীগঞ্জ।
নৌকায় এসব কাজ করতে দেন সংকোচ বা খা’রাপ লাগে না? তার সরল জবাব, ‘আমাকে টাকা দিয়ে নৌকায় যা খুশি করুক- কোন স’মস্যা নাই। অবশ্য কাজ শুরু হলে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকি আর বৈঠা বাই’।
আবার জিজ্ঞেস করলাম। সম্প’র্ক দেখে কি বুঝতে পারেন এরা প্রে’মিকা নিয়ে আসে নাকি পেশাদার যৌ’নকর্মী। অভিজ্ঞ এই মাঝির জবাব, ‘খুব বুঝতে পারি’। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বুঝাও যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেইসাথে টাকা নিয়ে তরুণ-তরুণীর মধ্যে নৌকায় অনেক সময় কথা কা’টাকাটিও হয় বলে জানান ভাসমান এই স্পট বিক্রেতা। তখন কোন পক্ষ নেন- ছেলের না মে’য়ের। এর জবাবে মাঝি জানায়, দেখেন শখ করে তো আর কেউ এই পেশায় আসে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই আসে। তাই এই পর্যন্ত যতগুলো ঘ’টনা ঘটেছে তাতে মে’য়ের পক্ষেই ছিলাম।
২০০ টাকা দিয়েছিলাম মাঝিকে। তিনজনকে নিয়ে চল্লিশ মিনিটের বেশি সময় ঘুরে দেখাল বুড়িগঙ্গা। গল্প করতে করতে প্রায় দুপুর। এরপর আরও কয়েকটি ঘাট ঘুরে চলল পর্যবেক্ষণ আর আলাপচারিতা। শেষে একটা কথাই মনে পড়ল,
বাকল্যান্ড বাঁধ আর বুড়িগঙ্গা ধরেই হয়তো এক সময় জমিদারদের বজরা ছুটে চলত। আর কালের পরিক্রমায় সেই বুড়িগঙ্গায়ই এখন ভেসে চলে ভাসমান প’তিতালয়! হয়তো এটাই হওয়ার ছিল। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার