বিয়ের পর সংসারে স’ন্তান-সন্তুতি আসবে, এটাই তো নিয়ম। সেটি পরিকল্পিতভাবে আসুক সেটিই সবাই চায়। কিন্তু অনেক দাম্পত্য জীবনে সব কিছু পরিকল্পিতভাবে হয়ে উঠে না।কেউ কেউ স’ন্তান না চাইলেও নিজের অজান্তে গ*ধারণ হয়ে যায়।
আবার অনেকে স’ন্তান চেয়েও বছরের পর বছর কাটিয়ে দেন কিন্তু সোনামুনির মুখ দেখেন না।স’ন্তান হওয়ার জন্য ব’য়স, খাদ্যাভাস, লাইফস্টাইল অনেক কিছুই নির্ভর করে। অনেকে বেশি ব’য়সে বিয়ে করেন। তাঁরা প্রত্যাশামাফিক স’ন্তানের বাবা-মা হতে পারেন না।
আমার কাছে কিছু রোগী আসেন, যাদের বিয়ে হয়েছে মাত্র এক মাস। তাদেরকে শ্বশুর শ্বাশুড়ী নিয়ে আসেন। তাদের অ’ভিযোগ, পুত্রবধু স’ন্তানের মা হতে পারছেন না।আমি তখন বলি, বিয়ে হয়েছে মাত্র একমাস। এখনই স’ন্তানের জন্য এত অস্থির হচ্ছেন কেন?
তখন তারা আমাকে উত্তর দেয়, প্রেগ*ন্সির জন্য একমাসও লাগে না। একদিনই যথেষ্ট। আসলে এই ধারণা ভু’ল।আমরা যেটা পরামর্শ দিই সেটি হচ্ছে, আপনারা স্বা’মী- স্ত্রী পুরো একবছর একস’ঙ্গে থাকবেন। কিন্তু দেখা যায় স্বা’মী থাকে চট্টগ্রাম, স্ত্রী থাকে ঢাকায়। সপ্তাহে একদিন স্বা’মী আসেন। এক্ষেত্রে স’ন্তান হবে কি করে?
আমার পরামর্শ হচ্ছে স’ন্তান নিতে চাইলে পুরো এক বছর স্বা’মী-স্ত্রীর একস’ঙ্গে থাকতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারবার মেলামেশা করবেন।এরপরও যদি গ’র্ভে স’ন্তান না আসে তাহলে ডাক্তারের স’ঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কিন্তু যদি এমনটি হয়, স্বা’মী বিয়ের এক মাসের মাথায় বিদেশ চলে গেছেন। একবছরের মাথায় যদি মে’য়েটি এসে বলে আমি মা হচ্ছি না কেন, তাহলেও হবে কিভাবে? আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখন আমরা মে’য়েদের বেলায় ২০- এর পরে ও ছেলেদের বেলায় ২২- এর পরে বিয়ে করতে বলি। বিয়ের পর মে’য়েদের বেলায় যদি প্রথম স’ন্তানটা ৩০ বা ৩২ বছরের মধ্যে হয় তাহলে সেটা নিরাপদ গ*ধারণ হয়।
পুরু’ষরা কখন বাবা হবেন তা নিয়ে ব’য়সের কোন বা’ধ্যবাধকতা নাই। একজন পুরু’ষ বৃ’দ্ধ ব’য়সেও স’ন্তান জ’ন্ম’দানে সক্ষ’মতা রাখে।তবে মে’য়েদের ক্ষেত্রে প্রথম স’ন্তানটা ৩০-এর মধ্যে নেওয়া ভাল। মনে রাখা উচিত, ৩৫ বছরের পরে মা হওয়া ঝুঁ’কিপূর্ণ।