কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরায় একটি কোচিং সেন্টারে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধ’র্ষণের ঘ’টনায় দা’য়ের করা মা’মলার প্রধান আ’সামি তারেকুল ইসলাম তারেকসহ দুইজনকে গ্রে’ফতার করেছে পু’লিশ। চৌদ্দগ্রাম থানা পু’লিশের সদস্য চট্টগ্রামে অ’ভিযান চা’লিয়ে তাদেরকে গ্রে’ফতার করে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে গ্রে’ফতারকৃত তারেক ও তৌহিদুর রহমানকে কুমিল্লার আ’দালতের মাধ্যমে জে’লহাজতে পাঠানো হয়েছে। অ’ভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজে’লার আলকরা ইউনিয়নের লহ্মীপুর গ্রামের মৃ’ত রেজাউর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, অ’ভিযুক্ত শিক্ষক তারেক সম্প’র্কে ওই ছাত্রীর খালাতো ভাই। তারেক বিভিন্ন সময় তার কোচিং সেন্টার ছুটির পর পড়ার নাম করে ওই ছাত্রীকে থাকতে বলে। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে ধ’র্ষণ করতেন। ধ’র্ষণের সময় ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন তারেক। পরে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভ’য় দেখিয়ে একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধ’র্ষণ করেন তিনি।
ধ’র্ষণের ফলে ওই ছাত্রী গত ২৮ এপ্রিল হঠাৎ অ’সুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ফেনী জে’লা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হলে ওই ছাত্রী অ’ন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট আসে।
এরই মধ্যে গত ১২ আগস্ট ওই ছাত্রী একটি ছেলে স’ন্তান প্রসব করে। পরে স’ন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য তারেককে বিয়ের চা’প সৃষ্টি করলে সে তালবাহা’না করতে থাকে। এর ঘ’টনার পর ওই ছাত্রীর বাবা ৪ অক্টোবর কুমিল্লার না’রী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনাল-৩ নম্বর আ’দালতে অ’ভিযুক্ত শিক্ষক তারেকসহ ৫ জনকে আ’সামি করে মা’মলা দা’য়ের করেছেন।
পরে ওই আ’দালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম শুনানির পর মা’মলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে সরাসরি এফআইআর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং আ’সামিদের গ্রে’ফতারের নির্দেশ দেন। পু’লিশ দুই আসামীকে গ্রে’ফতার করে বুধবার (১৪ অক্টোবর) কুমিল্লার আ’দালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আ’দালতে দুইজনকেই জা’মিন না মঞ্জুর করে জে’ল আজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার পু’লিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ত্রিনাথ সাহা বলেন, চট্টগ্রামের ডাবলমুড়িং থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে তারেকুর রহমান ও তার ভাই তৌহিদুর রহমানকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। মা’মলার অপর আ’সামিদের গ্রে’ফতারে অ’ভিযান চলছে।