এতিম এক কি’শোরী গৃহকর্মীকে গৃহকর্তার দুই ছেলে ৬ মাস ধরে ধ’র্ষণ করে আসছিল একে অন্যের অজান্তে। গৃহকর্তার এক ছেলে তাকে ধ’র্ষণ করতেন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার ভাড়া বাড়িতে এবং অপর ছেলে ধ’র্ষণ করতেন বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে।
এক ভাইয়ের ধ’র্ষণের ঘ’টনা অপর ভাই জানতেন না। বাবা-মা হারা কি’শোরীটি এভাবে গত ৬ মাস ধরে ধ’র্ষণের শি’কার হয়ে আসছিল। এর একপর্যায়ে ১৪ বছর ব’য়সী ওই কি’শোরী গ’র্ভবতী হয়ে পড়ার পর তার গ’র্ভপাত করানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর হোসেনের ব্যক্তিগত শালিস কেন্দ্রে ওই ঘ’টনার শালিস করার সময় পু’লিশ সেখান থেকে এক ধ’র্ষককে গ্রে’ফতার করে। তবে অপর ধ’র্ষক পা’লিয়ে গেছে। এদিকে ধ’র্ষিতা কি’শোরী বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মা’মলা দা’য়েরের পর বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধ’র্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ১৪ বছর ব’য়সী ওই ধ’র্ষিতা কি’শোরীর বাবা কয়েক বছর আগে তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র সংসার পাতেন। অন্যদিকে অভাবের সংসারে কি’শোরীর মা গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে চলে যান ওমানে। বাবা-মা হারা কি’শোরীটি একা হয়ে পড়লে এবাড়ি-ওবাড়ি কাজ করে পেট চালাতে তাকে। ছয় মাস আগে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপাড়ার মকসুদুল হকের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গৃহকর্তা মকসুদুল হকের দুই ছেলে শহীদুল ইসলাম ও জিয়াউল হকের ধ’র্ষণে ওই কি’শোরী গ’র্ভবতী হয়ে পড়লে বাঁশখালীর স্থানীয় ছৈয়দুল আলম নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী নার্গিস আক্তারের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত সোমবার (৩১ আগস্ট) কি’শোরীর গ’র্ভপাত ঘটানো হয়।
এ ঘ’টনার কথা প্রকাশ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর হোসেনের মিয়াবাজারের ব্যক্তিগত শালিস কেন্দ্রে সালিশি বৈঠক বসে। কিন্তু ধ’র্ষক দুই ভাইকে পু’লিশে না দিয়ে সালিশি বৈঠক বসানোর ঘ’টনায় গ্রামবাসী প্র’তিবাদ জানালে নিরুপায় হয়ে কাউন্সিলর আজগর পু’লিশকে খবর দেন। পরে পু’লিশ এসে ধ’র্ষক শহীদুল ইসলামকে গ্রে’ফতার করলেও তার ভাই অপর ধ’র্ষক জিয়াউল হক পা’লিয়ে যায়।
এদিকে ধ’র্ষিতা কি’শোরী দুই ধ’র্ষকের নাম বললেও মা’মলার এজাহারে কেবল শহীদুল ইসলামকেই আ’সামি করা হয়েছে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে গ’র্ভপাত ঘটানো নার্গিস আক্তারকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। অপর ভাইকে আ’সামি না করার বি’ষয়ে বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, ‘অপর ধ’র্ষক জিয়াউল হক নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকা ধ’র্ষণের ঘ’টনা ঘটিয়েছে। সে কারণে ওই ধ’র্ষকের মা’মলা বাকলিয়া থানায় করতে হবে। তাই এজাহারে জিয়াউল হককে আ’সামি করা হয়নি।’