বুকে ছোট্ট ব্যাগ জড়িয়ে এক ব্যক্তির আর্তনাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। ছবি দেখে প্রথমাবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হলেও ভিডিও দেখে সবার ভুল ভাঙে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন নয়,
পেশায় একজন রিকশাচালক। ঋণের টাকায় কেনা রিকশা হারিয়ে দিশেহারা মো. ফজলুর রহমান। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা চালাতেন ফজলুর রহমান। বাবা-মা, বোন ও দুই ভা’গ্নির সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি।
তাদরে মুখে দু’মুখো খাবার তুলে দিতে কিছুদিন আগে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশাটি কিনেন তিনি। এটিই ছিল একমাত্র সম্বল। এদিকে রাজধানীতে অটোরিকশা চলাচল নি’ষি’দ্ধ করা হয়েছে। আর এরই প্রেক্ষিতে
ঘোষণা দিয়ে অ’ভিযানও চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। অ’ভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকায় অ’ভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ফজলুর রহমান হয়তো সেই ঘোষণা জানতেন না বা জেনেও অমান্য করেছেন। ফলে তার রিকশা তুলে নিয়ে যায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। একমাত্র সম্বলের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন ফজলুর। কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, ‘গাড়ি তো লইয়া গেল। ৮০ আজার ট্যাহার কিস্তি কি কইরা দিমু?
কি কইরা খামু…?’ ‘কি করমু, গলায় দড়ি দিমু।’ ওই অ’ভিযানে এমন সম্বল হারান অনেক রিকশাচালক। তবে ঋণে জর্জরিত ফজলুরের কান্নাই সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। এরইমধ্যে একজন ফজলুর রহমানকে একটি নতুন রিকশা কিনে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন। অবশেষে হাসি ফুটেছে সেই ফজলুর রহমানের মুখে। আজ খুশিতে চকচক করছে তাই দুঃখ ভরা সেই চোখ দুটি।