দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটালে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবি’ষ্যত প্রজ’ন্মের জন্য অ্যা’কশন টুডে’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অ’ঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবি’ষ্যৎ প্রজ’ন্মের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ও’পর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শ’ক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ন্যূনতম ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা নেই। সে শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ স’রকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের জন্য স’রকারের চা’পের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে পরিবর্তন-নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটির ও’পর আমাদের আলোকপাত অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে এবং না’রীর ক্ষ’মতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তনকে অনুঘটক করেছে। এটি এসডিজিগুলোকে বাস্তবায়ন এবং কো’ভিড-১৯-এর বি’রুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, কাজেই আমরা আমাদের তরুণ প্রজ’ন্মকে এই রূপান্তরিত যাত্রার কেন্দ্রে রাখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অ’ঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান।