স’রকারি টাকায় নিজের চিকিৎসা করেছেন। ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিনকে বানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র। ছোট ভাইয়ের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে দেন-দরবার করেন। মা’র্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতের স’ঙ্গে বৈঠকে স’রকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এমনকি দলীয় ফোরামে বলেছেন, দেশে এখন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এ রকম সাত অ’ভিযোগে অ’ভিযুক্ত বিএনপি মহাস’চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এই সব অ’ভিযোগ ত’থ্য প্রমানসহ দেয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। খালেদা মির্জা ফখরুলের এই সব কর্মকান্ডে ‘হতবাক’ বলেই জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত হয়তো সরে যেতে হচ্ছে ফখরুলকে। তবে মহাস’চিব পদে শেষ পর্যন্ত ফখরুল থাকবেন কিনা, এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সি’দ্ধান্ত নেবেন লন্ডনে প’লাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। বিএনপি মহাস’চিবের বি’রুদ্ধে বিশ্বাসঘা’তকতার সুনির্দিষ্ট ৭টি অ’ভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অ’ভিযোগগুলো হলোঃ
১। স’রকারি টাকায় চিকিৎসা
মির্জা ফখরুলের বি’রুদ্ধে প্রধান অ’ভিযোগ হলো, গো’পনে তিনি তার চিকিৎসার জন্য স’রকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দুই দফায় মির্জা ফখরুল তার চিকিৎসা বাবদ ৪৮ লাখ টাকা নেন। স’রকারি টাকায় তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন। এ সময় তার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মিশন। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসার বিল মেটায় বাংলাদেশ মিশন। বিএনপির অনেক নেতার কাছেই এ সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে, বলে জানা গেছে।
২। ভাইকে পৌরসভার মেয়র বানানো
বিএনপি মহাস’চিবের ছোট ভাই ঠাকুরগাও পৌরসভার মেয়র। এটি স’রকারের সাথে আঁতাতের ফসল বলেই মনে করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ঐ মেয়র প্রধানমন্ত্রীর স’ঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে, স’রকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
৩। ভাইয়ের জন্য দেন-দরবার তদবির
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ভাইয়ের পৌরসভার বরাদ্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য নিয়মিত টেলিফোন করেন বিভিন্ন মন্ত্রীকে। স’রকারের একাধিক মন্ত্রীর স’ঙ্গে বিএনপি মহাস’চিবের সম্প’র্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।
৪। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বিএনপি মহাস’চিব মির্জা ফখরুল ইসরাম আলমগীর। এই ফ্রন্ট বিএনপির আদর্শ পরিপন্থী, বলে মনে করেন বিএনপির অধিকাংশ নেতা। আওয়ামী লীগকে তৃতীয় দফা ক্ষ’মতায় আনা নিশ্চিত করতেই এই ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল বলে মনে করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
৫। নিজের মা’মলা নিষ্ক্রিয় করা
স’রকারের স’ঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমেই মির্জা ফখরুল তার বি’রুদ্ধে করা মা’মলাগুলো নিষ্ক্রিয় করেছেন, বলে অ’ভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মির্জা ফখরুলের বি’রুদ্ধে ২৯টি মা’মলার একটিও চলমান নেই। যে দলের চেয়ারপারসন ২৫ মাস জে’ল খাটেন, সেই দলের মহাস’চিব কিভাবে মা’মলা থামিয়ে রাখেন- সে প্রশ্ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের।
৬। বিদেশি দূ’তাবাসে স’রকারের প্রশংসা
অন্তত দুটি দূ’তাবাসের স’ঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল বর্তমান স’রকারের প্রশংসা করেছেন, বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মা’র্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন বিএনপি মহাস’চিব বলেছেন, স’রকার কিছু ভালো করছে।
৭। প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই
দলীয় ফোরামের বৈঠকে একাধিকবার মির্জার ফখরুল বলেছেন, ‘এখন চুড়ান্ত আন্দোলন করে কাকে ক্ষ’মতায় বসাবেন? এখন শেখ হাসিনার বিকল্প কে আছে দেখান।’
আর এই বক্তব্যকে বিশ্বাসঘা’তকতার সামিল বলেছে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ। আর এই সব কারণেই কে. এম ওবায়দুর রহমান কিংবা আবদুল মান্নান ভুঞার ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে মির্জা ফকরুলকে।