এ এক অ’সহায় মায়ের গল্প। ঘরে নেই পর্যা’প্ত খাবার, নেই পয়সা। এমনকি মাথার উপর ছাদটুকুও নেই। একেবারে নিঃস্ব। তার উপর আছে পাঁচ জন ছেলে-মে’য়ে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই অ’সুস্থ, রুগ্ন। এদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকার। কিন্তু সেই অ’সহায় মায়ের কাছে টাকা নেই। আর তাই শেষপর্যন্ত কোনো উপায় না দেখে রাস্তায় বসলেন নিজের শ’রীর সমস্ত অ’ঙ্গ বিক্রি করতে।
তিনি একটি একটি প্ল্যাকার্ডে লিখলেন, সমস্ত অ’ঙ্গ, হা’র্টও বিক্রি করা হবে । কেউ চাইলে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে যান ।আর এই আবেদন নজরে পড়ে সংবাদমাধ্য়মের। অবশেষে স’রকারের সহায়তায় ৪৪ বছরের সাথীদেবীর ছেলে-মে’য়ের চিকিৎসার খরচ বহনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর ৫ ছেলে-মে’য়েকে নিয়ে রাস্তায় বসেছেন। যখন ছোট স’ন্তানটি তাঁর গ’র্ভে তখন স্বা’মী ছেড়ে চলে যায়।
আর কোনোদিন আসেনি স্বা’মী। তাঁর ৪ ছেলে ১ মে’য়ে রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ২ জন ছেলে সুস্থ আছেন আপাতত। পথ দূর্ঘ’টনায় মা’রাত্মকভাবে জ’খম হয়েছে বড় ছেলে। তাঁর পা ভে’ঙে গিয়েছে। মাথাও দুটুকরো হয়ে গিয়েছিল।তবে সাথীদেবী কোনওরকম প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন।
এখনও সেই ছেলে অ’সুস্থ আছে। মেজো ছেলে জ’ন্ম থেকেই বিশেষভাবে অ’ক্ষম। মাত্র ৭ বছর ব’য়সে তার পেটে জটিল অ’স্ত্রোপচার হয়েছিল। সে এখনও অ’সুস্থ। আর ২০১৩ সালে মে’য়েরও বড় দূর্ঘ’টনা ঘটেছিল । তারপর থেকে সেও অ’সুস্থ রয়েছে। তিনি অ’ভিযোগ জানিয়েছেন যে বারবার প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এই স’মস্যার কোনওসমাধান হয়নি। সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি এরপর শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে ত্রিপল খাটিয়ে স’ন্তানদের নিয়ে প্র’তিবাদে বসেছিলেন।
এই ঘ’টনার পরেই তাঁকে ও তাঁর স’ন্তানদের অস্থায়ী পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এখন তাঁর এবং তাঁর স’ন্তানদের দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেরল স’রকার। মিডিয়ার জন্যই প্রশাসনের নজরে আসে এই ঘ’টনা। আর টনক নড়েছে প্রশাসনের।