পাঁচ মে’য়ে ও এক ছেলে স’ন্তান রেখে পাঁচ বছর আগে মা’রা গেছেন স্ত্রী। স’ন্তানদের বিয়ে হয়েছে। মে’য়েরা শ্বশুর বাড়িতে আর ছেলে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। নিঃস’ঙ্গতার মধ্যে দিন কাটছিল ঝিনাইদহ সদর উপজে’লার গাড়ামা’রা গ্রামের ৭৫ বছর ব’য়সী বৃ’দ্ধ হাতেম আলীর।
এ অবস্থায় আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তিনি। স্বা’মী পরিত্যক্তা ৫০ বছর ব’য়সী এক না’রীর স’ঙ্গে শনিবার রাতে বিয়ে হয় তার। আয়োজনও ছিল বেশ। ১৫০ বর ও কনে যাত্রী নিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
ঝিনাইদহ শহরের নতুন কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি তার ঘর নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। হাতেম আলীর বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে এমন কথা শোনার পর খোঁজ পান সদর উপজে’লার গয়েশপুর গ্রামের জহুরন নেছার। ১ সপ্তাহ যাবত চলে পাত্র ও পাত্রীর দেখাশোনা।
উভ’য়পক্ষের সম্মতি থাকায় শনিবার রাতে প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ১০ হাজার টাকা নগদ কাবিনে বিয়ে হয় তাদের। পাত্র ও পাত্রী পক্ষের ১৫০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে হাতেম আলী বলেন, এই বৃ’দ্ধ ব’য়সে আল্লাহর রহমতে একজন জীবনস’ঙ্গী পেলাম। আল্লাহ যেন আমাদের সু’খী রাখেন। কিছুদিন পর আমার স্ত্রী’কে আমি ১০ কাঠা জমি লিখে দিব। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
হাতেম আলী ও জহুরন নেছা দম্পত্তি বিয়ে বি’ষয় এলাকার পাড়া মহল্লা, চায়ের দোকানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।