হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা আহম’দ শফীর মৃ’ত্যুতে শো’ক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আল্লামা শফীর মৃ’ত্যুর পর এক শো’কবার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছিলেন আল্লামা শফী।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক শো’কবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘’তিনি ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পাশাপাশি কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও ভূমিকা রেখেছেন।‘’
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রস’ঙ্গত, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লামা আহম’দ শফী। তার ব’য়স হয়েছিল ১০৫ বছর।
এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি অ’সুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় তাকে। তবে সেখানে অবস্থার অ’বনতি ঘটলে শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় আজগর আলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ র’ক্তচা’প এবং শ্বাসক’ষ্ট সহ নানাবিধ স্বা’স্থ্যগত স’মস্যা ও বার্ধক্যজনিত স’মস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মৃ’ত্যু বরণ করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার হাটহাজারী কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যান আল্লামা শফী। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে অনতম একটি দাবি ছিল দায়িত্ব পালনে অ’ক্ষম থাকায়, যেন মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যান তিনি। মজলিশে শূরা কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক শেষে তাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি তার ছেলেকেও সরিয়ে দেয়া হয় মাদ্রাসার সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে। এরপর রাতে হঠাৎ অ’সুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শফী। সাথে সাথে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলে এনে ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে তার মৃ’ত্যুর পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতাকর্মী হাসপাতালের সামনে বি’ক্ষো’ভ করেন। হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে তাকে জো’র করে সরিয়ে দেয়ার কারনেই অ’সুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি এমনটা অ’ভিযোগ করা হয় বি’ক্ষো’ভকারীদের মধ্যে থেকে।