বগুড়ার ধুনট উপজে’লায় একাধিক ব্যক্তির ধ’র্ষণের শি’কার হয়ে স্কুলছাত্রীর জ’ন্ম দেওয়া স’ন্তানের পিতৃপরিচয় মিলছে না। পিতার পরিচয় সনাক্ত করতে তৃতীয় দফায় ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আ’দালতের আদেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার স’ন্তান এবং ধ’র্ষককে ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
এর আগে নানা-নাতির বি’রুদ্ধে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগ ওঠার পর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ডিএনও প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই নানা-নাতির ডিএনএর স’ঙ্গে স্কুলছাত্রীর জ’ন্ম নেওয়া স’ন্তানের ডিএনএ মিলছে না। ফলে ওই স্কুলছাত্রীর দেওয়া ত’থ্য মতে একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাকিব হোসেনকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ। তৃতীয় দফায় রাকিব হোসেনসহ স্কুলছাত্রী ও তার স’ন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে।
মা’মলা সূত্রে জানা যায়, ধ’র্ষণে জ’ন্ম নেওয়া স’ন্তানের মা স্কুলছাত্রী উপজে’লার ছোট চিকাশি-মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে প্রে’মিক বকুল মে’য়েটির ঘরে ঢুকে ধ’র্ষণের সময় ধরে ফে’লে নানা। ঘ’টনাটি প্রকাশ করার ভ’য় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধ’র্ষণ করেন। ধ’র্ষণে মে’য়েটি অ’ন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা বা’দী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মা’মলা দা’য়ের করেন। ওই মা’মলায় মে’য়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও তার নাতি বকুল হোসেনকে আ’সামি করা হয়। এ অবস্থায় ধ’র্ষণের শি’কার স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রস’ন্তানের জ’ন্ম দেন।
ন’বজাতকের জ’ন্ম’দাতার পরিচয় সনাক্ত করতে নানা রশিদ ও বকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্ত তাদের ডিএনএ পরীক্ষায় স’ন্তানের জ’ন্ম’দাতার পরিচয় মেলেনি। পরিবর্তীতে আ’দালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী পুনরায় রাকিব হোসেনের নাম প্রকাশ করেন।
ধুনট থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ ত’থ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে ধ’র্ষণে জ’ন্ম নেওয়া শি’শুটির পিতৃপরিচয়। এ জন্য আর কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।