ওজন কমানোর জন্য স্বা’স্থ্য সচেতনরা কতকিছুই না করে থাকেন। বিশেষ করে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে ডায়েট কন্ট্রোল করা এর অন্যতম একটি উপায়। শ’রীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে ওজন কমানোর ডায়েট বেশ কার্যকর।
ওজন বাড়া নিয়ে এই প্রজ’ন্মের তরুণ-তরুণীদের মাথাব্য’থার শেষ নেই৷ ওজন নি’য়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া কমিয়ে দেন অনেকে৷ তাতে হিতে বিপরীত হয়৷ ওজন কমানোর নে’শায় স্বা’স্থ্যের পক্ষে চ’রম ক্ষ’তি ডেকে আনেন তারা৷
কিন্তু খাওয়া কমানো তো কোনও সমাধান নয়৷ ওজন কমাতে গেলে ডায়েটেও অনেক পরিবর্তন আনতে হয়৷ তবে এমন কয়েকটা খাবার আছে, যা পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়ে না৷
ছাতু
ব্রেকফাস্টে নানা ধরনের খাবারের অনায়াস বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এটি৷ পুষ্টিগুণে কোনও ঘাটতি নেই৷ ওজন বাড়ার কোনও স’মস্যা নেই৷ পানীয় হিসেবে তৈরি করেও ছাতু খাওয়া যেতে পারে৷ ওজন তো বাড়বেই না উল্টে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয় এই খাবার৷
ইডলি
যারা ওজন নি’য়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন তারা অনায়াসে ইডলি খাবার খেতে পারেন৷ কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরল প্রায় নেই বললেই চলে৷ এদিকে ভাপা বা স্টিমড হওয়ার ফলে সহজপাচ্যও বটে৷
দালিয়া
অনেকের কাছে জনপ্রিয় খাবার দালিয়া৷ বেশ মশলাদার করেও যেমন এটি তৈরি করা যায়, তেমনি হালকা সহজপাচ্যও করে তোলা যায়৷ ধীরে ধীরে হজম হয় বলে ক্রমে ক্রমে গ্লুকোজের মুক্তি ঘটে৷ ফলে যারা ওজন কমাতে চান তারা অনেকক্ষণ কিছু না খেয়েও এনার্জি পেতে পারেন৷
ধোকলা
স্ন্যাক্স খাওয়ার ঝোঁকে অনেকেই ফাস্ট ফুড খেয়ে ফে’লেন৷ তাতে ওজন কমানোর দফারফা হয়ে যায়৷ হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার হিসেবে তাই ধোকলা খাওয়া যেতে পারে৷ এতেও কোলেস্টেরল প্রায় নেই বললেই চলে৷
এছাড়াও বাজরার রুটি কিংবা স্প্রাউট স্যালাডও যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে৷ তাতে শ’রীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজের চা’হিদা মেটে৷ কিন্তু কোলেস্টেরল জমে না৷ ফলে ওজন কমানোর জন্য পেট খালি রাখার প্রয়োজন হয় না৷