বেকার শ্র’মিকদের তিন হাজার টাকা করে দিবে স’রকার। তবে এ অর্থ পাবেন রফতানিমুখী উৎপাদনশীল শিল্প পোশাক খাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের কাজ হা’রানো বেকার শ্র’মিকরা। এজন্য স’রকারের আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, ইইউ ও জার্মানির দেয়া অর্থে এ প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হবে। তিন মাস পর্যন্ত শ্র’মিকরা এ অর্থ পাবেন। আগামী মাসেই (সেপ্টেম্বর) এ প্যাকেজ ঘোষণা হতে পারে।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্টের (বিআইজি’ডি) এক যৌথ জরিপ অনুযায়ী, জুনে এসে অতি দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেও যারা প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করতেন, জুনে তাদের আয় ৩৪ টাকা কমে ৬৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে অতি দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। তিন বেলা খাবার জোটানোই এখন তাদের প্রধান স’মস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জরিপে আরো বলা হয়, ক’রোনার শুরুতে গত এপ্রিল মাসে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ হলেও জুন মাসে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশে। জুন মাসে লকডাউন কিছুটা শিথিল থাকায় এপ্রিলের তুলনায় দারিদ্র্য ১ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় কমেছে রিকশাচালকদের। তাদের প্রায় ৫৪ শতাংশের আয় কমেছে। এরপরই রয়েছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী, পরিবহন ও অদক্ষ শ্র’মিকরা।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ এখনো বা’ধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে কাজে বের হচ্ছেন, এর কোনো বিকল্প নেই। কেননা ক’রোনা ম’হামা’রিতে স’রকারি সহায়তা খুবই অপ্রতুল। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে দরিদ্র মানুষকে যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা এক ধরনের টোকেন সহায়তা। নগদ সহায়তা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ স’রকারি সহায়তা পেয়েছে। এই ১৫ শতাংশ সবাই আবার সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছিল না।