ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বিপাকে পড়েছেন। চিত্রনায়ক শাকিব খানের বি’রুদ্ধে সিডিউল ফাঁ’সানোসহ নানা অনিয়মের অ’ভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে চলচ্চিত্রের ‘স্বার্থ বি’রোধী’ কর্মকাণ্ডে জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগে শিল্পী জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন।
চিত্রনায়ক শাকিব খান সিডিউল ফাঁ’সানো, প্রযোজককে হ’ত্যার হু’মকি, চলচ্চিত্রে শিল্পীদের তার পছন্দমতো না নিলে সেই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোসহ নানা অ’ভিযোগে অ’ভিযুক্ত হয়েছেন।
এ প্রস’ঙ্গে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান বলেন, শাকিবের কারণে চলচ্চিত্রে আমার লসের পাল্লাটা ভারী। তার কারণে আমার একটি ছবির শুটিংয়ের কাজ শেষ করতে ৬ মাসের বেশি সময় লেগেছে। তাছাড়া সিনেমা মুক্তি দিতে বিভিন্নভাবে স’ন্ত্রাসীবাহিনী দ্বারা আমাকে হ’ত্যার হু’মকিও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এ ফিরছেন পরীমনি
অভিনেতা লিটন হাসমি শাকিব প্রস’ঙ্গে বলেন, শাকিব খানের কারণে অনেক প্রযোজক সিনেমা বানাতে এসে সর্বশান্ত হয়ে চলে গেছেন। কারণ শাকিব সিডিউল দিয়েও কাজ করতে আসেনি। যার কারণে যে প্রযোজক ২ কোটি টাকার সিনেমা বানাতে এসেছিলেন তার ছবিটি ৪ কোটিতে শেষ হয়েছে। বাকি দুই কোটি টাকা লোন করতে হয়েছে। এবং রিলিজের সময় শাকিব কোনো সহযোগিতা করেনি। এর কারণে সিনেমাটি মুক্তির পর ওই টাকা’টা উঠে আসেনি। যার কারণে অন্য প্রযোজকরা এই সকল বি’ষয় জানার পর কিন্তু আর সিনেমা বানাতে সাহস পায়নি।
শাকিবের বি’রুদ্ধে এসব অ’ভিযোগের বি’ষয় জানতে শাকিব খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন বয়কট ঘোষণা করেছে। এছাড়া ১৮৪ জন শিল্পীদের শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার প্রয়োগ বঞ্চিত করায় জায়েদ খানের বি’রুদ্ধে রাস্তায় মা’নববন্ধ’ন করেন। সদস্যপদ ফিরে পেতে তারা ক’ঠোর হুঁ’শিয়ারি উচ্চারণ করেন। চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন আলটিমেটাম দিয়েছে যে মিশা-জায়েদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হবে না।
চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন বলেছে, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে কাজের গতি বাড়াতে গত বছরের অক্টোবরে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে আসবে। কিন্তু সেই উদ্যোগটি ন’ষ্ট করার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। যে কারণে তার সাথে কোনো কাজ আর করবে না কোনো সংগঠন। কেউ যদি জায়েদকে নিয়ে কাজ করে তাহলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হওয়ারও ঘোষণা দেয় তারা।
জায়েদ খান মনে করেন, যারা এমন করছেন চলচ্চিত্র অ’ঙ্গনকে তারা একটি সার্কাসে পরিণত করছেন।
তিনি বলেন, রাত নেই, দিন নেই আমি শিল্পী সমিতির সবার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সব সময় নিজেকে সৎ রাখার চেষ্টা করেছি। নিজেকে আমি নেতা ভাবি না, আমি সেবক ভাবি। আর আমি শিল্পীদের স্বার্থের জন্যই কাজ করে করেছি, করে যাচ্ছি। শিল্পী সমিতিতে না আসলে আমার আরও দুই চারটি ছবি আসতো। কিন্তু শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করতে গিয়ে ছবিতেও কাজ করা হয়নি। তারপরও আমাকে বি’পদে ফেলা হচ্ছে।