কী দিন কী হয়ে যায়! এই তো দুই বছর আগের কথা। বিশ্বকাপ নিয়ে এসেছিলেন ঘরে। শুভেচ্ছা আর অর্ভ্যথনার জোয়ারে ভেসে যাওয়ার অবস্থা। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্লাইন্ড ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে ৩০৮ রান তাড়া করে জয় ছি’নিয়ে আনার অন্যতম নায়ক ছিলেন নরেশ তুম্বা।
দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের জীবন পাল্টে গিয়েছে। এখন তিনি পরিবারের খরচ চালাতে সবজি বিক্রি করেন। ভারতের আহমেদাবাদের জামালপুর মার্কে’টে গেলেই দেখা পাওয়া যায় এই ক্রিকেটারের।
ক’রোনা সব শেষ করে দিয়েছে। ২৯ বছর ব’য়সী তুম্বার কাঁধে পরিবারের পাঁচজন সদস্যের পেট চালাবার দায়িত্ব। দৃষ্টিহীন হওয়ায় কোনো চাকরির সুযোগ মেলেনি। পাননি কোনো ধরনের আর্থিক সাহায্যও।
মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের দিনমজুরের কাজ করে অল্প টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে কতদিন! বা’ধ্য হয়েই সংসারের হাল ধরতে শহরে এসে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
তুম্বার আক্ষেপ, ‘বিশ্বকাপ জিতে যখন ভারতীয় দল দেশের মাটিতে আসে, তখন তাদের জন্য স’রকার ও রাজ্য স’রকার টাকার বন্যা বইয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের মতো অন্ধ ক্রিকেটারদের জন্য সেই উচ্ছ্বাস কোথায়! সমাজ আমাদের কখনওই একনজরে দেখে না।’
ক’রোনাভা’ইরাসেের লকডাউন অনেককেই পথে বসিয়ে দিয়েছে। তুম্বা একাই নন, কোরিওগ্রাফারের পেশায় থাকা জয়েশ নায়াক স্থানীয় দুটি জায়গায় নাচ শেখাতেন। ক’রোনার জেরে সেই নাচের স্কুল এখন বন্ধ। তারও সবজি বিক্রি করেই দিন কাটছে।