ধুমধাড়াক্কা মা’রপিট করতে পারে। গভীর রাতে বাড়ি ফিরতে পারে। এমনকী চাইলে সে’ক্সও। কেউ ব্যাঁকা চোখে দেখে না। কিন্তু, সেই একই ঘ’টনা পরম্পরা যদি কোনো মে’য়ে ঘটায়, আমরা কি খুব স্বভাবিক ভাবে তা মেনে নিতে পারি?
চলুন ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে। আপনি যদি পুরু’ষ হন, তা হলে কোনো স’মস্যা হিল্লিদিল্লি কোথাওই নেই। অনায়াসে ক’নডম কিনতে পারেন। দোকানি চেনা পরিচিত হলে, বাধো বাধো ঠেকলেও, অপরিচিত হলে কোনো সংকোচই নেই।
সংকোচের কারণও নেই। কারণ, যৌ’নতা জীবনেরই অ’ঙ্গ। সে’ক্স করার মধ্যে অ’পরাধের কিছু নেই, যদি না গা-জোয়ারি একতরফা হয়।
কিন্তু, আপনি যদি মে’য়ে হন, পারবেন কি দোকানে গিয়ে ক’নডম কিনতে? তর্কের খাতিরে, নিজেকে আধুনিকা, বোল্ড প্রমাণ করতে কোনো ম’হিলা বা তরুণী যদি দোকানে ক’নডম কিনতে ঢোকেন, কী হবে বা হতে পারে ধারণা আছে? আপনার সামনে হয়তো কেউ কিছু বলবে না।
কিন্তু, সে সময় দোকানে উপস্থিত প্রত্যেকের কাছেই যে আপনি দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠবেন, তা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়।
আর আড়ালে কী বলতে পারে? আপনার ধারণারও অতীত। মুচমুচে টকঝালমিষ্টি চানাচুরের মতো ফিরবেন লোকমুখের চর্চায়। নির্লজ্জ, বেহায়া…..এমন টুকরো টুকরো কটাক্ষ তো রয়েছেই। একদম চরিত্র নিয়ে টানাটানি। লোকে যৌ’নকর্মী বলেও চিহ্নিত করে দেবে।
হাতের পাঁচটা আঙুলের মতোই সবাই সমান নয়। সাহসিনীর পক্ষেও সওয়াল করতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু তাঁরা কোটিতে গুটির মতো গুটিকয়। দেখু’ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয়ে ঘোরা ভিডিওটি। সব দেখেশুনে আপনার মনে হতেই পারে, স’মস্যা আসলে কার? মে’য়েটির নাকি আমাদের মান্ধাতার মা’নসিকতার? একটা ছেলে যদি ক’নডম কিনতে পারে, মে’য়েরাই বা পারবে না কেন? এর মধ্যে অ’শ্লীলতা কোথায়?