ক’রোনার বিস্তার রোধে স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২৪ নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এই নির্দেশনা জারি করে। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ম’ন্ত্রণালয় ১৬টি নির্দেশনা জারি করেছিল।
আদেশে বলা হয়, ক’রোনাভা’ইরাসেের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে স’রকারি আধা-স’রকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের করণীয় সম্প’র্কে ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ওই গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ম’ন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীন সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে ম’ন্ত্রণালয় থেকে ১৬টি নির্দেশনা জারি করে।
এরপরও ক’রোনাভা’ইরাসেে ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ৭০০ জন আ’ক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ৯০ জন কর্মকর্তা, ৪৮ জন কর্মচারী, ৫৩৯ জন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আ’ক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। শিক্ষকসহ মা’রা গেছেন ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদের মধ্যে দুই জন কর্মকর্তা, এক জন কর্মচারী এবং ১৭ জন শিক্ষক।
এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং এর আওতাধীন সব দফতর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়।
২৪ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন ও অফিসে সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. শা’রীরিক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র দিয়ে শ’রীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন।
৩. নিজের মধ্যে ক’রোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলুন।
৪. জী’বাণুনাশক স্প্রে দিয়ে অফিসের দরজা, আলমারির হাতল, লক, হ্যান্ডেল, চেয়ার, টেবিল, বৈদ্যুতিক সুইচ ইত্যাদি পরিষ্কার রাখু’ন।
৫. বাইরে থেকে সরবরাহ করা প্যাকে’টের নাস্তা/খাবার যতদূর সম্ভব পরিহার করুন।
৬. নিজের ব্যবহার করা জিনিসপত্র (বেল্ট, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি) নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখু’ন।
৭. অফিসে কাজ করার সময় ন্যূনতম ৩ ফুট শা’রীরিক দূরত্ব বজায় রাখু’ন।
৮. নির্দিষ্ট সময় পর পর সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার রাখু’ন।
৯. দাফতরিক কাজ সম্পাদনে সহকর্মীদের স’ঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখু’ন।
১০. নিজ নিজ কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখু’ন এবং সংশ্লিষ্ট ভবনে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
১১. একান্ত প্রয়োজন না হলে অন্যের রুমে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১২. কোনও রুমেই একস’ঙ্গে চারজনের বেশি প্রবেশ বা অবস্থান করা থেকে বিরত থাকুন।
১৩. দর্শনার্থী সীমিত করুন এবং তাদের স’ঙ্গে সাক্ষাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখু’ন।
১৪. কেউ খাবার বা নামাজরত থাকলে ওই কক্ষে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন।
১৫. যতদূর সম্ভব লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। একান্ত প্রয়োজনে একস’ঙ্গে অনধিক চারজন লিফট ব্যবহার করুন।
১৬. লিফটে মুখোমুখি দাঁড়াবেন না, দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়ান।
১৭. লিফটের বাটনে চা’প দেওয়ার সময় খুব ভালো হয়, যদি অ্যালকোহল প্যাড বা টিস্যু ব্যবহার করুন। সেগুলো হাতের কাছে না থাকলে হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে অথবা কনুই দিয়ে বাটনে চা’প দিন।
১৮. লিফট থেকে নেমে হাত পরিষ্কার করে নেন। ব্যবহৃত অ্যালকোহল প্যাড বা টিস্যু নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন।
১৯. লিফটের ভে’তর যতটা সম্ভব হাঁসি-কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। একান্ত প্রয়োজন হলে রুমাল বা টিস্যুতে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিন। ব্যবহার রা রুমালটি জী’বাণুমুক্ত করে ধুয়ে ফেলুন এবং ব্যবহৃত টিস্যুটি ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।
২০. ই-নথি ব্যবহার করুন।
২১. হার্ড ফাইল স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ফাইল বহনকারী নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখু’ন।
২২. হার্ড ফাইল/কাগজপত্রাদি স্পর্শ করার পর হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
২৩. করেনা ভাই’রাস মো’কাবিলায় স’রকারের এবং বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ বাসায় ও অফিসে প্রতিপালন করুন।
২৪. স্বাস্থ্যবিধি নিজে মেনে চলুন এবং অন্যকে মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।