রিয়াজুল করিম ওরফে দাদুল নামের এক পল্লী চিকিৎসকের ভু’ল চিকিৎসায় চোঁখ হারাতে বসেছে মো. সামসুল হক (৬৩) নামের এক বৃ’দ্ধ। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজে’লার বাউরা ইউনিয়নের বাউরা বাজারে এ ঘ’টনা ঘটে। ওই পল্লী চিকিৎসকের চক্ষু বি’ষয়ে কোনো সনদ পত্র না থাকলেও তিনি চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সামসুল হক নামে ওই বৃ’দ্ধের চোঁখ ন’ষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
দিনমজুর সামসুল হক বলেন, প্রায় একমাস আগে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় আমার ডান চোখে কোনো কিছু পড়ে। পরে চোঁখের সমস্যা দেখা দিলে বাউরা বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডা. রিয়াজুল করিমের চিকিৎসা গ্রহণ করি। দুই দফা ও’ষুধ পরিবর্তন করে দেয় ডা. দাদুল। আমাকে বলা হয়, আমার চোখের মাংস বেড়ে গেছে। কিন্তু ওই চিকিৎসকের চিকিৎসায় আমার চোঁখের সমস্যা বেড়ে যায় এবং এক সময় ওই চোঁখে কিছুই দেখতে পাই না।
এরপর তিনি লালমনিরহাটের আর’ডিআরএস’র চক্ষু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্রের স্বরনাপন্ন হন। চোখ পরীক্ষার পর সামসুল হককে চক্ষু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র জানান ভু’ল চিকিৎসায় তার চোঁখ ন’ষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। তাকে উন্নত চিকিৎসার পরার্মশ দেন চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র।
এ বি’ষয়ে পল্লী চিকিৎসক রিয়াজুল করিম দাদুল জানান, তার এক বড় ভাই বাংলাদেশ রেলওয়ের চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন। তার সাথে চলাফেলা করে তিনি চক্ষু চিকিৎসার উপর একটু ধারণা নিয়েছেন। সেই ধারণা থেকেই তিনি চিকিৎসা দিচ্ছেন। সামসুল হকের চোখের চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার ভু’ল হয়েছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি সব রকম ব্যবস্থাসহ আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।
লালমনিরহাটের বেস’রকারি প্রতিষ্ঠানের আর’ডিআরএস বাংলাদেশ’র চক্ষু চিকিৎসক ডা. শ্যামল চন্দ্র বলেন, সামসুল হক নামে এক ব্যক্তি আমার কাছে চোঁখের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তার ভু’ল চিকিৎসার কারণে চোঁখ ন’ষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। উন্নত চিকিৎসা গ্রহনের জন্য তাকে আমি রংপুর যেতে বলেছি।
এবি’ষয়ে পাটগ্রাম উপজে’লা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. অরুপ পাল বলেন, বি’ষয়টি শুনেছি। ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।