দে’হ ব্যবসা সারা বিশ্বের প্রচীনতম পেশাগু’লির মধ্যে অন্যতম। এই ব্যবসা যে শুধু মে’য়েরা করে তা নয়। না’রী পুরু’ষ সকলেই নাম লেখায় এই পেশায়। কোন কোন পুরু’ষ মে’য়েদের কাজে লাগিয়ে ব্যবসা থেকে পাওয়া মো’টা টাকা লাভ করে। আবার পুরু’ষেরা নিজেরাও দে’হ ব্যবসায় লি’প্ত হয়। তারা কোন ম’হিলার যৌ-ন ই’চ্ছা পরিতৃ’প্ত করার জন্য এই কাজ করে এবং তার জন্য টাকা নেয়।
প্রাচীনকাল থেকেই দে’হ ব্যবসার রমরমা বাজার সারা পৃথিবী জুড়ে। অষ্টাদশ শতকের শেষে এবং ঊনবিংশ শতকের শুরুতে ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে ব্রিটিশরা অল্প ব’য়সি কিছু মে’য়েকে ধরে এনে তাদের কামনা চরিতার্থ করতো।
তারা এই কাজের জন্য একটি স্থান তৈরি করেছিল যা তারা বে’শ্যালয় হিসাবে ব্যবহার হত। কিন্তু এত সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও এক শ্রেনির মে’য়েরা এখনো উপেক্ষিত। তাদের পেশার নাম হল – দে’হ ব্যবসা। এই কথা শুনলে সভ্য শ্রেনির মানুষেরা কানে আ’ঙ্গুল দেয়।
তাই যৌ-ন পল্লীর আর এক নাম হল নি’ষিদ্ধপল্লী। যে সব পুরু’ষের নিত্য নতুন না’রী শ’রীর চাই, তাদের জন্যই এই ব্যবসা চলছে বেশ ভালোভাবেই। কিছু মে’য়ে অভাবের তাড়নায় খেতে না পেয়ে, আবার অনেক মে’য়ে কোন প্ররোচনার ফাঁ’দে পা দিয়ে এই পেশার স’ঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে।
কিছু গরীব কলেজ পড়ুয়া মে’য়ে, গৃহবধূ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে এই কাজে নামে। গোটা বিশ্ব জুড়ে কমবেশি সব জায়গাতেই দে’হ ব্যবসা হয়ে থাকে। এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ যৌ-ন পল্লী আছে আছে আমাদের ভারতেই। আর সেটা হল কোলকাতার বুকে।
সবাই হয়তো তার নাম শুনেই থাকবেন। তার নাম হল ‘সোনা-গাছি’। এই এলাকায় প্রায় ১৪ হাজার প’তিতা বাস করে। যারা প্রতিদিন নিজেদের পেট চা’লানোর জন্য তাদের শ’রীর বেচে। এই শহরের এই জায়গাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন।
এই জায়গায় দে’হ ব্যবসা সম্পূর্ন বৈধ। এশিয়ার সব থেকে বড় যৌ-ন পল্লি হওয়া সত্ত্বেও এখানকার কর্মীদের রোজগার খুব বেশি নয়। তাদের জীবন খুবই ক’ষ্টের। সেখানে সর্বনিম্ন ১২৪ টাকায় মে’য়েদের নিজের শ’রীর বিক্রি করতে হয়।
১২৪ টাকা খুব কম টাকা। ঐ টাকা কোন কাজেই লাগেনা। নিজেদের পেট চা’লানোর জন্য ১২৪ টাকা কিছুই নয়। তাদের জন্য স’রকারের কোন সাহজ্য নেই। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অল্প কিছু সাহায্য করে, তবুও তা তাদের জন্য যথেষ্ট নয়।