পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর ‘বয়কট’ করা নিয়ে আবারও আলোচনায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আঁতুরঘর এফডিসি।সম্প্রতি চলচ্চিত্রের সবগুলো সংগঠন থেকে নি’ষিদ্ধ হয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর-জায়েদ খান।এরইমধ্যে এই দুইজনের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নামে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ হা’রানো ১৮৪ জন শিল্পী।
এসব বি’ষয়কে ভালো চোখে দেখছেন না চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পীরা। অনেকেই দ্রু’ত ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন। এদিকে এ বি’ষয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।
সদস্যপদ হা’রানো ১৮৪জন শিল্পীর সি’দ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮৪ জন শিল্পীকে অন্যায়ভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। যখন ১৮৪ জন শিল্পীকে বাতিল করা হয়েছিল তখন আমি নিজেও কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম।তাই আমি এর সাক্ষী। আমরা কয়েকজন যখন ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে চাইলাম তখন মিশা-জায়েদের স’ঙ্গে অনেক কথা কা’টাকাটি হয়েছিল।
আমাদের বলতে দেয়া হয়নি কোনো কথা। স্পষ্ট দেখছিলাম সবাইকে অন্ধকারে রেখে কেউ কেউ স্বার্থ আদা’য়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।রিয়াজ বলেন, এসব কারণেই কিন্তু আমি পরে তাদের স’ঙ্গে নির্বাচনে যাইনি। মনে হয়েছিল, যদি নিজের কমিটির অনিয়মকেই রুখতে না পারিতাহলে আর পদে থাকার দরকার নেই। যে কোনো পদেই ভালো মানুষদের থাকা উচিত।
কারণ তাদের হাতে অনেকের দায়িত্ব থাকে। এসব কারণেই সরে এসেছিলাম।এক সময়ের ব্যস্ততম এ নায়ক বলেন, ক’রোনার ক্রান্তিকালে শতাধিক শিল্পী রাস্তায় নেমে মা’নববন্ধ’ন করেছে। পরিস্থিতি কী পর্যায়ে গেলে তারা এমন আ’তঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে তাদেরই নেতাদের বি’রুদ্ধে আন্দোলন করছে!শিল্পীদের জন্য এটি কাম্য নয়, নেতাদের জন্যও নয়।
আমি চাই যেভাবেই হোক সমিতি ও শিল্পীরা ভাল থাকুক।রিয়াজ বলেন, শুধুমাত্র সভাপতি আর সেক্রেটারি নয়, পুরো ২১ জনকে নিয়ে একটি ক্যাবিনেট হয়।২১ জনের মধ্যে ওই দুইজন ছাড়া আর কারও বি’রুদ্ধে কিন্তু কথা উঠছে না। কেন? আমি জানি না কেন। তবে কোনো কারণ ছাড়া যে হচ্ছে না সেটা তো বোঝাই যায়।