অতিমাত্রার ক্যারিয়ারিস্ট ছেলেমে’য়েকে অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। ক্যারিয়ার বলতে যারা শুধু ডিগ্রি অর্জনকেই বোঝায়, তাদের কাছে সম্প’র্ক, পরিবার, স’ন্তান, আত্মীয়স্বজন, সমাজ, রাষ্ট্র – এগুলো কোনো ইস্যুই না।
এই ধরনের ফ্রিক মানুষগুলো ফ্যামিলি লাইফে ভ’য়ংকর হয়। এই ধরনের পাত্রপাত্রীদের অর্জন যতই এট্রাকটিভ হোক না কেন, এদের ক্যারিয়ার দেখে বিয়ে করলে আপনি পস্তাতে বা’ধ্য। সত্যিকার অর্থে ক্যারিয়ার একটি হলিস্টিক ইস্যু। এর পারিবারিক, সামাজিক, একাডেমিক, আধ্যাত্মিক, রাষ্ট্রীয় এ রকম অনেক ডায়মেনশন আছে। যাদের কাছে ক্যারিয়ারের ডায়মেনশন একটাই- একাডেমিক ডায়মেনশন, স্বা’মী-স্ত্রী হিসেবে এরা ভ’য়ংকর, সাবধান!
দুই
ফ্রি মিক্সারদের অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন, কারণ বহু পুরু’ষের/না’রীদের সান্নিধ্যে এসে বহু পুরু’ষের/না’রীর বহু গুণ তারা এক পুরু’ষের/না’রীর (স্বা’মীর-স্ত্রীর) মধ্যে খুঁজতে যায়! আর যখন তা খুঁজে না পায় তখন পাওয়া বি’ষয় বাদ দিয়ে না পাওয়া বি’ষয়গুলো ঘাঁটাঘাঁটি করেই স্বা’মীর-স্ত্রীর লাইফকে হেল করে তোলে!!
বহু পুরু’ষের/না’রীর সান্নিধ্যে থেকে এদের মধ্যে নৈতিকতাহীনতা ও নির্লজ্জতার সৃষ্টি হয়! ফলে এরা খুব সহজেই পর পুরু’ষের/পর না’রীর স’ঙ্গে মিশে যেতে পারে!
পূর্ব স্বভাবের কারণে এরা পরবর্তীতে এক পুরু’ষের/না’রীর (স্বা’মীর/স্ত্রীর) সান্নিধ্যে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না! তাই বিয়ের পর কর্মজীবনে প্রবেশ করলে এরা কর্মক্ষেত্রেও বহু ছেলেবন্ধু/মে’য়েবন্ধু বানায়! বাইচান্স, ওইসব ছেলেবন্ধু/মে’য়েবন্ধুদের মধ্যে লিচু প্রজাতির মানুষ থাকে আর যখনই আপনার পার্টনারের স’ঙ্গে কোনো ব্যাপারে আপনার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় তাহলে, ওই সময় ওই লিচু বন্ধু এর ফায়দা তুলে নিতে পারে, আর আপনার স্ত্রী-স্বা’মীর পূর্ণ সমর্থনে গড়ে উঠতে পারে একটি পরকীয়ার সম্প’র্ক!!
কখনো কখনো আপনার স’ঙ্গে আপনার স্ত্রীর-স্বা’মীর মনোমালিন্যেরও প্রয়োজন পড়বে না! জাস্ট একটু অ্যাডভেঞ্চার লাভের আশায় আপনার ফ্রি মিক্সার স্ত্রী/স্বা’মীই আপনাকে বাদ দিয়ে অন্যের জন্য নিজের দুয়ার খুলে দিতে পারে! কারণ তার মধ্যে কোনো নৈতিকতা নেই! আছে শুধু নির্লজ্জতা!
আর একটুখানি নির্লজ্জতা অনেক বড় অ’পরাধের দুয়ার খুলে দেয়! ফ্রি মিক্সার না’রী-পুরু’ষ হচ্ছে এমন নৌকা, যার কোনো মাঝি (বিবেক) নেই। স্রোতের স’ঙ্গে ভাসতে ভাসতে এরা কখন কার ঘাটে গিয়ে ভিড়বে, বা কোন সমুদ্রে চলে যাবে, সেটা তারা নিজেরাও জানে না।
তিন
অতীতে অন্য কারো “কাছে আসার সাহসী গল্প” এর নায়ক-নায়িকা ছিল এমন কাউকে বিয়ে করবেন না। নিজের বা অন্যের কোন বয় বা গার্লফ্রেন্ডকেই বিয়ে করার দরকার নেই। ভালো ছেলেমে’য়েরা সাধারণত বয় বা গার্লফ্রেন্ড হতে চায় না। আর সাধারণত বয় বা গার্লফ্রেন্ডরা ও ভালো ছেলেমে’য়ে হয় না।
আপনি যখন এমন কাউকে বিয়ে করবেন যে অতীতে অন্য কারো “কাছে আসার সাহসী গল্প” এর নায়ক-নায়িকা ছিল, তখন আপনার জীবনে তিন ধরনের মধ্যে যে কোনো একধরনের ঘ’টনা ঘটতে পারে।
১। আপনার স’ঙ্গী/স’ঙ্গিনী সাবেক ইয়েকে ভু’লে যাবে আর আপনাকে ভালোবাসতে চেষ্টা করবে, তবে এ ভালোবাসায় আবেগ কম থাকবে এবং ভালোবাসার চেয়ে দায় মেটানোর চেষ্টাটা বেশি থাকবে এবং সারাজীবন আপনি আপনার অজান্তে বঞ্চিত হবেন সত্যিকারের ভালোবাসা থেকে।
২। হয় সে তার আগের প্রে’মিক/প্রে’মিকাকে সারাজীবন মনে রাখবে আর আপনাকে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে রোবটের মতো সংসার করে যাবে।
৩। নয়তো বিয়ের পর আপনার স’ঙ্গে সম্প’র্কের কোনো এক দু’র্বল পয়েন্টে (সম্প’র্কের গভীরতা সব সময় এক থাকে না, কমবেশি হয়, হোক সেটা মায়ের ভালোবাসা, সম্প’র্কের পারদ ওঠানামা করবেই) পুরনো ইয়ের স’ঙ্গে কোনো একসময় যোগাযোগ হয়ে যাবে আর নতুন একটি প’রকীয়া স্টোরির সূচনা হবে এবং সে তখন গাছের গোড়ারটাও খাবে আবার আগারটাও খাবে (এটাই নতুন জেনারেশনের মধ্যে হট টপিক) তাই দেখু’ন, শুনুন, বুঝুন, তারপর লাফ দিন।