প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁরা আমাদের পরপর তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। স’রকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
যার কারণে আমরা দেশের উন্নয়নে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স’ক্ষম হচ্ছি। মাঝখানে চেঞ্জ (পরিবর্তন) হলে আবার অনেক কিছু হয়ে যায়। সেটা আমরা দেখেছি ২০০১ সালের পরে।’ আজ বুধবার জাতীয় সং’সদে প্রশ্নোত্তরপর্বে সং’সদ সদস্য এ কে এম রহমত আলীর করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ও সং’সদ নেতা এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে স’রকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক বুদ্ধিজীবী ও লেখকও তাঁদের লেখনীতে জাতির পিতার বি’ষয়ে লিখতেন না। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথাগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার জন্য গড়ে তুলেছেন, এ কথাগুলো তুলে ধরা হতো না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একটি যু’দ্ধবি’ধ্বস্ত দেশকে জাতির জনক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। শিক্ষার্থীদের বইপুস্তক ও পোশাক দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সবই তিনি করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে শুধু হ’ত্যাই করা হয়নি, তাঁর বি’রুদ্ধে মিথ্যা অ’পপ্রচারও চা’লানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে চায়। আমরা মানুষকে সঠিক ইতিহাস জানাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’