হবিগঞ্জ জে’লার শায়েস্তাগঞ্জ উপজে’লার নূরপুর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু কর্তৃক কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের আত্মসাতের প্রায় ৭৫ হাজার টাকা উ’দ্ধার করে ২১ শ্র’মিককে বুঝিয়ে দিলেন ইউএনও সুমী আক্তার। সোমবার(৬ জুলাই) বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমী আক্তার এ ত’থ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে দুপুরে নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৯-২০ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের মজুরি নিতে শায়েস্তাগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় আসেন প্রায় ৯০ জন (না’রী ও পুরু’ষ) শ্র’মিক।
এক পর্যায়ে এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা নূরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়া ২১ জনের টিপসই নিয়ে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের কাছে দেন। ক্যাশিয়ার প্রতি শ্র’মিককে ৭ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু এ টাকা শ্র’মিকের হাতে যাওয়ার আগে মেম্বার জারু গ্রহণ করেন। তিনি (মেম্বার) প্রত্যেক শ্র’মিকের কাউকে তিন হাজার, কাউকে চার হাজার আবার কাউকে দুই হাজার দিয়ে বাকী টাকা আত্মসা’ৎ করেন।
বি’ষয়টি শ্র’মিকরা উপজে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালকে জানান। একই সাথে এক খবর চলে যায় জে’লা প্রশাসক মোহাম্ম’দ কামরুল হাসানের কাছে।
তাৎক্ষণিক উপজে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ঘ’টনাস্থলে পাঠান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্ম’দ গাজীউর রহমান ইমরানকে। তিনি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
জে’লা প্রশাসক মোহাম্ম’দ কামরুল হাসানের নির্দেশে ঘ’টনাস্থলে ছুটে গিয়ে ইউএনও সুমী আক্তার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আত্মসাতকৃত টাকা গো’পনে ব্যাংকে পাঠান মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়া। এছাড়া থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বেও একদল পু’লিশ তাৎক্ষণিক ঘ’টনাস্থলে এসে ভূমিকা পালন করে।
পরে উপজে’লা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্ম’দ গাজীউর রহমান ইমরানের উপস্থিতিতে ব্যাংকের এক কর্মচারী উ’দ্ধার হওয়া টাকা উপজে’লা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তারের কাছে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক উ’দ্ধারকৃত টাকা ইউএনও সুমী আক্তার ২১ শ্র’মিককে বুঝিয়ে দেন। একই সাথে বাকী শ্র’মিকদের জনপ্রতি ৭ হাজার ৮০০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে সোনা’রী ব্যাংক শায়েস্তাগঞ্জ শাখা থেকে।
এ ঘ’টনায় না’রী শ্র’মিক আমেনা খাতুন বা’দী হয়ে ইউএনও বরাবরে একটি অভিাযোগ দা’য়ের করেন। ইউএনও সুমী আক্তার বলেন, বি’ষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে শ্র’মিকদের টাকা উ’দ্ধার করে দিয়েছি। অ’ভিযুক্ত মেম্বার আব্দুল হাসিম জারু মিয়ার বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেই।
উপজে’লা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্ম’দ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, শ্র’মিকের মজুরি আত্মসাতের ঘ’টনাটি শোনামাত্র ঘ’টনাস্থলে ছুটে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। উ’দ্ধার হওয়া টাকা তাৎক্ষণিক বিতরণ করে দিয়েছেন ইউএনও সুমী আক্তার।
তাৎক্ষণিক টাকা উ’দ্ধার করে দেওয়ায় ইউএনও সুমী আক্তার, চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্ম’দ গাজীউর রহমান ইমরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শ্র’মিক নূরুল ইসলাম, তৌহিদ মিয়া, কাছম আলী, পারভীন আক্তার, সার বানুসহ শ্র’মিকরা বলেন, সত্যি শায়েস্তাগঞ্জ উপজে’লা প্রশাসন তৃণমূ’লের পাশে থাকার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা তাদেরকে ভু’লব না।