ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের অ’শ্লীল প্রেমালাপের অডিও ক্লিপ ফাঁ’স হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এক ছাত্রীর স’ঙ্গে ফোনে শা’রীরিক সম্প’র্কসহ অ’শ্লীল প্রেমালাপ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘ’টনায় অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) পরিচালক পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এ ঘ’টনা ত’দন্তে তিন সদস্যের ত’দন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে বিবিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রা’প্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বি’ষয়টি নিশ্চত করেন। এর আগে সকালে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশেও প্রশাসনিক পদ (টিএসসিসি’র পরিচালক) থেকে অব্যহতি দেওয়ার বি’ষয়টি উল্লেখ করা হয়।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, অধ্যপক রহমান (ড. মিজান) এবং না’রী শিক্ষার্থীর মধ্যে যে অ’শ্লীল ও আ’পত্তিকর কথাবার্তা হয়েছে তা নৈতিক স্খলনের (Moral Turpitude) সামিল। যার মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে যে পবিত্র সম্প’র্ক, তা ক্ষুন্ন হয়েছে।
এরূপ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে টিএসসিসি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া কেন তার বি’রুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এদিকে এ ঘ’টনার ত’দন্তে তিন সদস্যের একটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনকে আহবায়ক, শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
প্রস’ঙ্গত, গত ৩০ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও এক না’রী শিক্ষার্থীর অ’শ্লীল প্রেমালাপের দুটি অডিও ক্লিপ ফাঁ’স হয়। ওই অডিও ক্লিপের একটিতে ড. মিজানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক না’রী শিক্ষার্থীকে একা বাসায় আসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অ’শ্লীল আলাপ করতে শোনা যায়।
এমআর/এন