একটি ঔষধ খান আর আ’নন্দ করুন কাত এবং স’হবা’স করুন সারা রাত।জেনে নিন ঔষধের নাম ও কিভাবে কাজ করে।একটি ঔষধ খান আর আ’নন্দ করুন কাত এবং স’হবা’স করুন সারা রাত।জেনে নিন ঔষধের নাম ও কিভাবে কাজ করে।একটি ঔষধ খান আর আ’নন্দ করুন কাত এবং স’হবা’স করুন সারা রাত।জেনে নিন ঔষধের নাম ও কিভাবে কাজ করে।
না’রীর ক্যানসার
উত্তর আমেরিকার ফ্রিসকো শহরে ২০০৯ সালের জুন মাসে একটা হাঁটায় অংশ নিয়েছিলাম। এটা কোনো প্রতিযোগিতা ছিল না। এই হাঁটার ইভেন্টের নাম— Susan Komen walk for cure. মূ’লত উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে এই হাঁটার আয়োজন করা হয়।
এই হাঁটার প্রধান লক্ষ্য স্ত’ন ক্যানসার রিসার্চ এবং এই ক্যানসারে আ’ক্রান্ত রো’গীদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ। আরেকটি বড় লক্ষ্য যেসব না’রীরা এই ক্যানসারের বি’রুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন, একটু সুস্থ থাকার জন্য তাদের এই কঠিন লড়াইয়ে উৎসাহ দেওয়া।
তাদের প’রস্পরের স’ঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যেন একজন আরেকজনকে সাহায্য করতে পারেন। খুবই চমৎকার একটা অনুষ্ঠান।
এরপর এলেন স্টেজ টু যারা পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে আছেন। এ সময় চারদিকে তুমুল করতালি। ক্যানসারের বি’রুদ্ধে তাদের এই জয়কে উদ্যাপন করতে সবাই আজ একস’ঙ্গে। কিন্তু লক্ষ্য করলাম স্টেজ টুতে না’রীদের সংখ্যা কম আগের চেয়ে। ১৮-১৯ জন না’রী এগিয়ে এলেন।
তারপর স্টেজ থ্রিতে সংখ্যা কমে ৮-৯ জন। যত স্টেজ বাড়ছিল তত সারভাইভারের সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। আর তাদের শা’রীরিক অবস্থা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল কী বিশাল একটা ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু সবারই মুখের হাসিটা দারুণ উজ্জ্বল। আর হতেই হবে কারণ এত তাদের যু’দ্ধ জয়ের হাসি।
যখন স্টেজ থ্রি ক্যানসার সারভাইভাররা এগিয়ে এলেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। আমার গ’লার কাছে কিছু একটা দলা পাকিয়ে উঠছে। আমি বুঝতে পারছিলাম আমার বুকের ভে’তর দামামা বাজছে। আমার বারবার শুধু মনে হচ্ছিল আমার মায়ের কথা।
যাকে আমি হা’রিয়ে ফে’লেছি এক বছর আগে। আজকে যেসব না’রীরা স্টেজ থ্রি ক্যানসার নিয়েও ৮-৯ বছরের বেশি সময় বেঁচে আছেন, তাদের মতো একজন জয়িতা হতে পারতেন আমার মা। কিন্তু তিনি হননি। কর্কট রো’গের কাছে তাঁর নি’র্মম পরাজয় হয়েছে।
যখন আমার মায়ের ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পরে আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে ক্যানসার ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যায় তিন মাস। আমার মা যখন নিজে বুঝতে পারেন কিছু একটা ভারী অনুভূতি, তখনই স’ঙ্গে স’ঙ্গে কাউকে জানাননি বা ডাক্তারও দেখাননি। আর ১০টা পরিবারে যেমন হয় ছেলেমে’য়েদের পরীক্ষা, বুয়া নাই ইত্যাদি নানা সাংসারিক কথা চিন্তা করে ভেবেছেন, ডাক্তারের কাছে পরে যাবেন।
তারপর সংসারের সব কাজের জালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করতে ভু’লে যান। আমরাও সবাই ছিলাম নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। তাই যখন তিন মাস পর ডাক্তারের কাছে যান তখন ক্যানসার আর স্ত’নে সীমাবদ্ধ নেই। তা পৌঁছেছে স্টেজে থ্রিতে এবং স’ঙ্গে কমিয়ে দিয়েছে বেঁচে থাকার দিনের সংখ্যা।
এরপর আমার মাকে আর সব ক্যানসার রো’গীদের মতোই অসম্ভব কঠিন চিকিৎসা কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে য’ন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠতেন আমার মা। কড়া কড়া ও’ষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সারা শ’রীরে আরও নানারকম অসু’খ বাসা বাঁধতে থাকে। শেষ দিকে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে লিভার, হাড় ও ব্রেনে।
মাত্র পাঁচ বছর পর আমার মা তার প্রিয় সংসার ও স’ন্তানদের রেখে চলে যান। যে স’ন্তানের পরীক্ষা ও খাবারের চিন্তা করে তিনি ডাক্তার দেখতে দেরি করেন, সেই স’ন্তানদের আরও অনেক পরীক্ষাই আর তার দেখা হয় না। তাদের কোনো সাফল্য, কোনো উৎসবের ে আর তিনি অংশ নিতে পারেননি। ডাক্তারের কাছে শুনেছিলাম যদি ক্যানসার কয়েক মাস আগে ধরা পড়ত তাহলে হয়তো আমার মা আরও কয়েকটা বছর হাতে পেতেন। কিন্তু সেই শেষ রক্ষা আর হয়নি।
২০০৮ সালে আমার মা চলে যান পরপারে। আমার স’ঙ্গে শেষ কথা আর হয়নি। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে যখন আমার মায়ের কাছে দৌড়ে যাই তখন আমার মা কমায় চলে গেছেন, আমাকে আর চিনতে পারলেন না।
স্ত’ন ক্যানসার না’রীদের যত ধরনের ক্যানসার হয় তার মাঝে অন্যতম। এটা যেকোনো ব’য়সী মে’য়েদের ক্ষেত্রেই হতে পারে। যাদের পরিবারে এই ক্যানসার আছে তাদের যেমন ঝুঁ’কিটা বেশি আবার কোনো পারিবারিক ইতিহাস না থাকলেও হতে পারে। সারা বিশ্বে এই ক্যানসারে আ’ক্রান্ত না’রীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। তারপরও সবচেয়ে বড় আশার কথা হলো এই ক্যানসার অন্যান্য সব ক্যানসারের তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিরাময়যোগ্য। রো’গীরা অনেক ক্ষেত্রেই ক্যানসার নিয়’ন্ত্রণ হয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। তবে সবকিছুর মাঝে একটা ‘যদি’ আছে।
আর সেই যদি হলো Early detection বা দ্রু’ত ক্যানসার নির্ণয়। একজন রো’গী কতটুকু সুস্থ থাকবেন বা ক্যানসার ভবি’ষ্যতে আর ফিরে আসবে কিনা তার পুরোটাই নির্ভর করে কত আগে ও কোন স্টেজে রো’গ ধরা পড়ে। অন্যান্য আর ১০টা ক্যানসারের মতোই এই ক্যানসারের সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো ‘উপসর্গ’।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের ব্য’থা বা উপসর্গ থাকে না। তাই সচেতন না থাকলে ধরা পড়াটাও সহজ নয়।
আমাদের দেশে এখনো বছরে গড়ে ১৪-১৫ হাজার না’রী স্ত’ন ক্যানসারে আ’ক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর এর মাঝে ৭-৮ হাজার না’রী অকালে মৃ’ত্যুবরণ করেন। আমাদের দেশে এখনো অনেক ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না। দরিদ্র না’রীদের ক্ষেত্রে এর কারণ অর্থনৈতিক সং’কট। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে কিন্তু তা নয়। তাদের মধ্যে প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব, কুসংস্কার ও ধর্মীয় বা’ধা।
এমনিতেই ছোটবেলা থেকে আমাদের দেশে পারিবারিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে মে’য়েদের নিজেদের দে’হ স’ম্পর্কে সচেতন হওয়া বা কথা বলাটা একটা বিরাট ট্যাবু। হ্যাঁ ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মেখে ফরসা হওয়া বা নিয়মিত পারসোনা, ফারজানা শাকিল ইত্যাদি পারলার গিয়ে টাকা ঢেলে রূপচর্চা করতে অনেককেই দেখা যায়। কিন্তু শা’রীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কোনো ধরনের সচেতনতা মে’য়ে বা না’রীদের মধ্যে খুবই কম।
তারপর একজন মে’য়ে যখন বিয়ের পর স’ন্তান ও সংসারের আরও অনেক কাজের মাঝে ডুবে যান তখন নিজের কথা ভাবার বা লক্ষ্য করার সময়টুকু আর তার থাকে না। আর আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক ব্যবস্থাটাও এমন যে সেখান থেকেও খুব বেশি উৎসাহ পাওয়া যায় না। বরং কেন বাড়ির মা পরিবারের সবার খেদমত করতে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন না সে বি’ষয়ে কথা বলতে কেউ ছাড় দেয় না। তাই বাড়ির মার দিন কে’টে যায় হোমওয়ার্ক, স্কুলে পৌঁছানো, রান্নার তদারকি, বুয়া খোঁজা, সময় অসময়ে বাজার আর সামাজিক নানা দায়িত্ব পালন করে।
মন্টির মা ছেলেকে ভালো কোচিংয়ে দিয়েছে আমাকেও দিতে হবে বা মে’য়েকে গান শেখাও, নাচ শেখাও কিছু কম হলে হবে না এই দৌড় সামলাতে গিয়ে গিয়ে মায়েদের আর সময় নেই নিজের শ’রীরের খোঁজ নেওয়ার। আর কর্মজীবী মায়েদের অবস্থা আরও সঙিন। এই সব কিছুর স’ঙ্গে নিত্যদিনের অফিসের কাজ তো যোগ হয়। তাই একটু চিনচিন ব্য’থা বা শ’রীর খা’রাপ এসব পাত্তা না দিয়ে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনোরকমে কাজ করে যান। ছুটি নিয়ে ডাক্তার দেখানোর মতো বিলাসিতা আর তাদের করা হয় না।
তারপর একদিন যখন এই মাটি বুঝতে পারেন বুকটা হালকা ভারী লাগে, তখন লজ্জায় কাউকে বলতে পারেন না। বাড়ির কাউকে বললেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো পাত্তা পান না। স্বা’মী-স’ন্তান হয়তো এক কান দিয়ে শুনে আর আরেক কানে বের করে দেয়। তারপর যদি কোনো না’রী চিকিৎসক পাওয়া না যায় সহজে তাহলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেন।
বাংলাদেশের না’রীরা অনেক ক্ষেত্রেই শা’রীরিক বিভিন্ন সমস্যা জরুরি অবস্থাতেও একজন পু’রুষ চিকিৎসক দেখতে রাজি হন না। অনেক ক্ষেত্রেই পারিবারিক, সামাজিক বিধিনি’ষেধ এমনকি ধর্মীয় সংস্কার যা বেশির ভাগ মে’য়েদের জন্যই প্রযোজ্য সেগুলো ভে’ঙে নিজের শ’রীর ও তার সুস্থতার জন্য জরুরি প্রয়োজনে দরকার হলে পু’রুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে—এটা এখনো অনেক না’রী ও পরিবারের পু’রুষেরা চিন্তাও করতে পারেন না। কিন্তু ক্যানসার এত কিছুর তোয়াক্কা করে না। সে বিপুল দর্পে তার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে।
যত দিনে সেই মা চিকিৎসকের দুয়ারে পৌঁছান তত দিনে ক্যানসার তার দে’হে রাজত্ব বসিয়ে নিয়েছে। আর দে’হের অভ্যন্তরীণ অ’ঙ্গগুলোতে যখন ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে তখন ডাক্তারের কিছু করার থাকে না। তাই নানা ধরনের প্রচণ্ড বেদনাদায়ক ব্যয়বহুল চিকিৎসার পরে শেষ রক্ষা হয় না।
যে স্বা’মী-স’ন্তানের জন্য এবং পরিবারের ক’ষ্ট বা ছেলেমে’য়েদের পড়াশোনার ক্ষ’তি হবে ভেবে চিকিৎসকের জন্য সময় বের করা যায়নি, তাদের আরও অনেক কঠিন পরীক্ষার মাঝে রেখে না’রীকে চলে যেতে হয়। ত’ছনছ হয়ে যায় পরিবারটি। আবার এই ক্যানসারের চিকিৎসা করতে গিয়ে বিয়ের দুই-তিন বছরের মধ্যেই অনেক মে’য়ের সংসার ভে’ঙেও যায়। এটা আমাদের দেশে খুবই সাধারণ ঘ’টনা।
কেমোথেরাপি, স্ত’নের সার্জিক্যাল রিমুভালের পর একটা মে’য়ের যে চেহারা এবং দে’হের ও’পর দিয়ে যে ধকল যায় তা মেনে নিয়ে সংসার করবে এ ধরনের স্বা’মী বিরল না হলেও সংখ্যায় খুব বেশি না। সমাজ ও পরিবারও সবাই সমর্থন দিয়ে বলে, এত অল্প ব’য়স ছেলেটার, ওর তো একটা জীবন আছে স্বাদ আহ্লাদ আছে।
একজন না’রীর যদি হাজার টাকা খরচ করে একটা শাড়ি কেনার বা পারলার এ গিয়ে মেকআপ করার সময় এবং আর্থিক সংগতি থাকে তাহলে তার বছরে একবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিয়মিত শা’রীরিক পরীক্ষা করার সময় ও সামর্থ্য অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা না’রীরা তা করছি কি? পৃথিবীতে না’রীদের রূপ সৌন্দর্য বর্ধ’নের জন্য যত ধরনের দৌড় ঝাঁপ, উপকরণ ও সচেতনতা দেখা যায় তার একভাগও শা’রীরিক ও মা’নসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দেখা যায় না। অথচ প্রথমটার ডেপ্রিসিয়েশন ভ্যালু অনেক বেশি। কিন্তু দ্বিতীয়টি অনেক বেশি মূ’ল্যবান এই সমাজ ও মে’য়েদের কাছেও।
আর প্রথম প্রয়োজনে এত আকুতি হবেই বা না কেন? বিয়ের বা প্রেমের বাজারে সুন্দর মুখের জয়জয়কার। কিন্তু সুস্বাস্থ্য এই বাজারে ধোপেও টিকবে না। অথচ আমরা না’রীরা যদি একটু সচেতন হই, নিয়মিত সেল্ফ এক্সাম ও চিকিৎসক দিয়ে চেক করাই, সামান্য কিছু উপসর্গকে অবহেলা না করি তাহলে স্ত’ন ক্যানসার নির্মূ’ল না হলেও বেঁচে যাবেন অনেক কন্যা, জায়া ও জননী।
বেঁচে যাবে তাদের পরিবার। আর বাড়ির ছেলেরা যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আমরা সেই সব মা-বোনদেরকেও বাঁচাতে পারব যারা এখনো চিকিৎসা ও তার ব্যয়ভার বহনের জন্য বাড়ির পু’রুষদের ও’পর নির্ভর করেন।
জ’ন্মগতভাবেই মে’য়েরা পরিবার ও সমাজে সবসময় প্রাইমারি কেয়ার গিভার হিসেবে কাজ করে এসেছেন। আর তা করতে গিয়ে নিজের দিকে কেয়ার করার সময়, সুযোগ ও সচেতনতা তারা অনেক সময়ই হা’রিয়ে ফে’লেন। অক্টোবর মাস ছিল স্ত’ন ক্যানসার সচেতনতার মাস (Breast Cancer Awareness Month)। এই মাসে আমাদের সত্যেন হওয়ার প্রশিক্ষণ শুরু করা উচিত। যত দিন না ক্যানসারের পূর্ণ নিরাময় ও প্রতিরোধমূ’লক কোনো ও’ষুধ আবি’ষ্কার হচ্ছে তত দিন আমাদের সচেতনতা ও দ্রু’ত রো’গ নির্ণয় ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বেদনার অধ্যায় আমার মায়ের ক্যানসারে অকাল মৃ’ত্যু। প্রতিদিন আমার নানা বেদনায়, আমি ভাবি আজ আমার মা বেঁচে থাকলে কি করতেন?
আমার বাচ্চারা যারা কখনো তাদের নানিকে দেখেনি, যখন আমাকে নানা প্রশ্ন করে আমার আর কিছু বলার ভাষা থাকে না। একটা প্রশ্ন শুধুই আমার মনে ঘুরপাক খায়, আর আমার হৃদয়কে ক্ষ’তবিক্ষ’ত করে—আমার মায়ের ক্যানসার যদি আগে ধরা পড়ত, তাহলে কি আর কয়েকটা বছর বেশি তাকে কাছে পেতাম? এই প্রশ্ন আর তার বেদনার ভার অসীম।
এই বেদনার সময়কাল অন্তহীন। তাই আমার এই লেখাটা পড়ে যদি পাঁচজন না’রী–পু’রুষও সচেতন হন এবং তারা আরও পাঁচজনকে করেন, তারা আরও পাঁচজনকে, তবে এই বেদনার অন্তহীন যাত্রায় হয়তো ছেদচিহ্ন বসাতে পারব। আপনার ও আপনাদের সবার পরিবারকে এই বেদনার ভার থেকে রক্ষা করুন। কন্যা, জায়া ও জননী—সবাই ক্যানসার মুক্ত থাকুন।